দেশের অর্থনীতিকে রাবিশে পরিণত করার জন্য দায়ী অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংক সহ সকল ব্যাংক লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে বিচারেরও দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড থেকে রিজার্ভের এ পর্যন্ত সরকার কর্তৃক স্বীকারকৃত দশ কোটি দশ লাখ মার্কিন ডলার লোপাট বা চুরি হয়ে গেছে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ন্যাক্কারজনক জালিয়াতির ঘটনা এটি। এই টাকা চুরিতে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী মহল ও সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত বলে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বীকার করেছে। রিজভী বলেন, কয়েক মাস পূর্বে দেশের আর্থিক খাতে এতবড় জালিয়াতির ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার খবর পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
Read More News
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করে লুকোচুরি শুরু করে। পরে ঘটনার সত্যতা এবং পত্র পত্রিকার আলোচনা-সমালোচনায় তারা বিষয়টি স্বীকার করত: নড়েচড়ে বসেন। এতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিকে রাবিশে পরিণত করার জন্য অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর দায়ী। ৮০০ কোটি টাকা হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরও তারা এখনও দায়িত্ব পালন করছেন কোন নৈতিক অধিকারে। আমরা অবিলম্বে অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জালিয়াতির এতবড় ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী মহল ও ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকে স্বীকার করাও হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন রাঘব বোয়াল পর্যায়ের কর্মকর্তার পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছে। এতো বিশাল পরিমান অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে কী না তা নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করেছেন আমাদের দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদগণ। এর আগে ইবিএল ও ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোপাট হয়েছে। ব্রিএনপির অভিযোগ, সরকার লোক দেখানো তদন্ত ও কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার কারনেই ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে।