ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে ইরানের বিরুদ্ধে ‘দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ নিতে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের ক্রমাগত স্থূলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত নীতিমালা লঙ্ঘনের ব্যাপারে বিশ্বশক্তিগুলোকে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গত সপ্তাহে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ঐ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরমাণু অস্ত্র বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র হলে তা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালার লঙ্ঘন হবে।
নিজেদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে জানুয়ারিতে বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ইরান একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে।
Read More News
চুক্তি অনুযায়ী, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ আগামী অন্তত ১০ বছরের জন্য কমিয়ে আনবে। বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। ঐ চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে ইরানের ওপর থেকে বেশ কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। শুরু থেকেই ইরানের পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করেছে ইসরাইল। এই চুক্তি নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার শুক্রবার জানান, আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি তুলবে এবং তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প দূর্বল করতে দেশগুলোর সহযোগিতা চাইবে। তবে ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে জানুয়ারির পরমাণু চুক্তির নীতিমালার লঙ্ঘন হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ে জাতিসংঘের বিধি-নিষেধ এবং ইরানের উপর থাকা জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কৌশলগত দিক দিয়ে পরমাণু চুক্তির অংশ নয়। বুধবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও একই দাবি করা হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের কূটনীতিকরা বলেন, ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে তা পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম কিনা সে বিষয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের অপেক্ষায় আছে তারা।
CoinWan Latest Banlga Newspaper