কে হবেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট?

মিয়ানমারের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা শেষ হচ্ছে না।

অং সান সু চির বিকল্প হিসেবে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই নানা ধরনের গুঞ্জন চলছে। দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে এসেছে দেশটি।

এ বছর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেও প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না সু চি। কেননা সু চির স্বামী বিদেশী নাগরিক। আর দেশটির সংবিধান অনুযায়ী কারো স্বামী বা সন্তান বিদেশী নাগরিক হলে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
Read More News

এ কারণেই নির্বাচনে বিজয়ী সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) থেকে কোনো একজনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাছাই করা হবে। আর তিনিই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করতে পার্লামেন্টে বসবে সু চি এবং তার দলের নেতারা। ধারণা করা হচ্ছে নিজের পছন্দের কোনো নেতাকে বাছাই করে নেপথ্যে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন সু চি।

তবে এ বিষয়ে সু চির দল থেকে কিছু জানানো না হলেও বেশ কয়েকজন বাছাই পর্বে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাকে তিনি নিজের প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেবেন সেটাই দেখার অপেক্ষা। এ তালিকায় প্রথম দিকে যেসব নেতারা রয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:

থিন কিয়াও
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর তালিকায় প্রথম সারিতে যার নাম তিনি হলেন থিন কিয়াও। কেননা তাকে সু চির ব্যক্তিগত ড্রাইভার বলে অভিহিত করে অনেকেই। তিনি সু চির সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপদেষ্টাদের একজন। ৭০ বছর বয়সী থিন কিয়াও সু চির মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য। তারা ছোটবেলার বন্ধুও। এ ছাড়া থিনের স্ত্রী এনএলডি থেকে নির্বাচিত এমপি। সুতরাং সু চির পছন্দের তালিকায় তিনিই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টিন মিয়ো উইন
থিন কিয়াওয়ের পরেই সু চির আরেক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিন মিয়ো উইন। সু চির ১৫ বছরের গৃহবন্দি জীবনে সীমিত সংখ্যক কিছু লোকই সু চির সাথে দেখা করার অনুমতি পেতেন। টিন মিয়ো তাদের মধ্যে একজন। সু চির পক্ষ হয়ে বিভিন্ন সময় সামরিক সরকারের সঙ্গেও সংলাপ করেছেন তিনি। তবে ৬৪ বছর বয়সী টিন মাইয়ো একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তাই তার ওপর সেনাবাহিনীর প্রভাব বা ঘনিষ্ঠতা থাকতে পারে বলে সু চি তার প্রতি আস্থা না-ও রাখতে পারেন বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই।

টিন মার অং
সু চির ব্যক্তিগত সহকারী টিন মার অং। অনেকে অবশ্য এই নেত্রীকে সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। সু চির সার্বক্ষণিক সঙ্গী এই নারী নেত্রী প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

এই তিনজন ছাড়াও তেন উন এবং শোয়ে মান নামে দলের আরো দুই নেতাও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে সু চির মনোনয়নের তালিকায় রয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন এবং কাকে সু চি নিজের আসনে বসাবেন সেটা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মিয়ানমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *