থেমে নেই রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকাণ্ড

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে সুন্দরবনের সংকটাপন্ন প্রতিবেশ আরো হুমকির মুখে পড়বে’ এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন ভারতীয় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। সুন্দরবন বাঁচাও রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হঠাও সেস্নস্নাগানকে সামনে নিয়ে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির দ্বিতীয় বারের মতো সুন্দরবন অভিমুখী লংমার্চও কয়েক দিন আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু থেমে নেই রামপালে কয়রাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন মেগা প্রকল্পটির কর্মকা-।

ভারতীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে ভারতের কিছু এলাকার জনসাধারণ ইতোমধ্যে তাদের জীবিকা হারিয়েছে, পরিবেশ নষ্ট হয়েছে এবং এ কারণে আদালত অনেকগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
Read More News

তাই জনগণের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা উচিত এবং যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। এনভায়রনমেন্ট এন্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ (সিইপিআর), ভারত বিজ্ঞান যাত্রা, দিল্লী সালিডারিটি গ্রুপ, মাচ্ছিমার অধিকার সংঘর্ষ সংগঠন (ম্যাস) ও জাতীয় মৎস্যজীবী ফোরাম কর্তক আয়োজিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও উপকূলীয় প্রতিবেশ শীর্ষক এক সেমিনারে পরিবেশবাদীরা এমন অভিমত করেন।

সূত্রমতে, প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ব্যাপক আলোচিত রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকা- থেমে নেই। এ নিয়ে অবরোধ, হরতাল, মানববন্ধন, লংমার্চ প্রভৃতি কর্মকা- অব্যাহত থাকলেও ভারতের নির্বাচিত ঠিকাদারকেই কার্যাদেশ দিয়ে প্রকল্পটি যথাস্থানে বাস্তবায়ন করতে সরকার অনড় রয়েছে।

১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রটিতে ২০১৯ সালে উৎপাদন শুরুর সম্ভাবনা প্রবল। সুন্দরবন ও পরিবেশকে বিপন্ন করে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুাকেন্দ্র স্থাপন এখন আমজনতার গলার কাঁটা। আর সরকারের কাছেও যেন বিষফোঁড়া। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, সরকার প্রকল্পটি যেমন বন্ধ করতে পারছে না তেমনি বাস্তবায়ন করতে হলে একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর রোষানলে পড়তে হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবন থেকে সরকারি হিসাবে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত রামপাল বিদ্যুকেন্দ্রে যে লাখ লাখ টন কয়লা পোড়ানো হবে তা থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া, ছাই, রাসয়নিক পদার্থ ইত্যাদি আশপাশের বায়ু, পানি, মাটিকে দূষিত করবে।

এই দূষণ পানি ও বাতাসের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে সুন্দরবনকে বিপন্ন করবে। রামপাল বিদ্যুকেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল পরিমাণ কয়লা বহনকারী জাহাজ আসা-যাওয়া করবে বনের ভিতর দিয়ে। বহুল সমালোচিত এই প্রকল্প নিয়ে ইতোমধ্যে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও প্রশ্ন তুলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *