১৯৭১ সালে এ দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের কারণে পাকিস্তান দুঃখ প্রকাশ করে সেই ১৯৭৪ সালেই। শুধু মুখে মুখে নয়, পাকিস্তানের এই দুঃখ প্রকাশ রীতিমতো লিখিতভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আছে। অথচ সেই পাকিস্তান এখন তা বেমালুম অস্বীকার করে যাচ্ছে। ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বরও ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে ১৯৭১ সালে এ দেশে নৃশংসতা ও অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নাকচ করে দেয় পাকিস্তান সরকার। এ ছাড়া পাকিস্তান নিজেই বিচার করবে বলে কথা দিয়ে তাদের শীর্ষ ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীকে ফিরিয়ে নিলেও কার্যত তাদের দায়মুক্তি দিয়েছে। পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের সুপারিশসংবলিত পাকিস্তান সরকার গঠিত হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদন ওই দেশটির কোনো সরকারই আমলে নেয়নি।
Read More News
তাই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যখন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করছে, তখন ঘুরেফিরে সেই ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর প্রসঙ্গ চলে আসছে। এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান এখন একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন ঘটনার দায় অস্বীকার করছে। শুধু তাই নয়, এই বিচার ঠেকানোর জন্য প্রকাশ্য তৎপরতাও চালাচ্ছে পাকিস্তান। তারা বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের ঘটনাবলি ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, ১৯৭১ সালের ঘটনাবলি বা মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে কোনো আপস নয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরদের অপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপে দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন ও উত্তেজনা দেখা দেয়। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও ওঠে বিভিন্ন মহলে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক এখনই ছিন্ন করবে না বাংলাদেশ। তবে এ সম্পর্ক পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে কী হবে তা সময়ই বলে দেবে। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী আজিজ আহমেদ তাঁর সরকারের পক্ষে কূটনৈতিক মারপ্যাঁচে বলেছিলেন, ‘কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকলে পাকিস্তান সরকার তার নিন্দা জানায় এবং গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করে।’ এটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতেও উল্লেখ আছে এবং তা তিনি স্বাক্ষরও করেছেন। শুরু থেকেই বিচার ঠেকানোর মিশন পাকিস্তানের : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করার পর এ দেশ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ভারতে নেওয়া হয়েছিল।
তাদের পাকিস্তানে ফেরা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টির জন্য পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় নেতারা ১৯৭২ সালের শুরু থেকে বিশ্বের অনেক দেশ সফর করেন। এরপর যুদ্ধবন্দিদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে বৈশ্বিক চাপ এলে ভারত জানায়, ওই যুদ্ধবন্দিরা বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাই ভারত একক সিদ্ধান্তে তাদের ছেড়ে দিতে পারে না। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ওই দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় কোনো বৈঠকে বসবেন না। ১৯৭৩ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তির আওতায় ১৯৫ জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ছাড়া বাকি পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিরা দেশে ফিরে যায়। পাকিস্তান তখন তার মিত্র মুসলমান দেশগুলোকে দিয়ে বাংলাদেশকে চাপ দেয় এবং পাকিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর শর্ত হিসেবে ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিকে ফেরত দেওয়ার শর্ত জুড়ে দেয়। প্রবল চাপের মুখে এবং উপমহাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টির স্বার্থে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার না করেই পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে রাজি হয়।
তবে যে চুক্তির আওতায় তারা পাকিস্তানে ফিরে গেছে, সেখানে তাদের বাংলাদেশের বাইরে বিচার থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং ওই চুক্তিতেও তাদের বিচারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। ১৯৭৪ সালের ওই চুক্তিতে উল্লেখ আছে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘ওই ১৯৫ যুদ্ধবন্দি যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধবিষয়ক আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী নানা অপরাধ ও বাড়াবাড়ি করেছেন। এ ধরনের অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচারের বিষয়ে বৈশ্বিক ঐকমত্য রয়েছে। তাই যথাযথ প্রক্রিয়ায় ওই ১৯৫ পাকিস্তানি বন্দির অপরাধেরও বিচার হওয়া উচিত।’
অবশ্য এরও আগে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়, তখন পাকিস্তান নিজে থেকেই ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে গিয়ে দাবি করেছিল, বিচার করার একচ্ছত্র অধিকার পাকিস্তানেরই। অপরাধীদের বিচার করতে একটি বিচারিক ট্রাইব্যুনাল গঠনে পাকিস্তান প্রস্তুত। তবে সেই পাকিস্তান পরে আর কথা রাখেনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর নানা অপরাধ ও কুকর্মের বিবরণ নিজস্ব তদন্ত কমিশনের (হামুদুর রহমান কমিশনের) প্রতিবেদনেও আছে। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর শৃঙ্খলা ভেঙে পড়া, ফায়ারিং স্কোয়াডসহ নানা কায়দায় বাংলাদেশিদের হত্যার সুস্পষ্ট অভিযোগ তুলে ধরে সেগুলোর দায় নির্ধারণের জন্য অধিকতর তদন্ত ও প্রয়োজনে তথ্য-প্রমাণ দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানোর সুপারিশ করা হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে। ১৯৭৪ সালে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীরা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পর হামুদুর রহমান কমিশন নতুন করে তদন্ত করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর কাছে প্রতিবেদন দেয়। সেই প্রতিবেদনেই পাকিস্তানি বাহিনীর বাংলাদেশে অপরাধের দায় নিরুপণের জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন ও দোষীদের শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ ছিল।
কিন্তু পাকিস্তান সরকার সেই প্রতিবেদন আমলে না নিয়ে তা গোপন করে। একসময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ওই প্রতিবেদনটি চুরি হওয়ার পর ২০০০ সালে জানা যায়, সেটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীই সরিয়ে ফেলেছিল। ২০০০ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সরকার শেষ পর্যন্ত ফাঁস হয়ে যাওয়া ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তবে মোশাররফ দাবি করেছিলেন, ১৯৭১ সালের ঘটনাবলি রাজনীতির পাশাপাশি সামরিক ব্যর্থতা। এর জন্য সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের সুপারিশ যথার্থ নয়। পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর সংখ্যা আরো বেশি : ১৯৭৪ সালের এপ্রিলে শেষ দফায় ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়া শীর্ষ ১৯৫ যুদ্ধবন্দির বিচারের জন্য বাংলাদেশ দাবি জানালেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিল আরো অনেকের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে পাকিস্তানি ২০০ যুদ্ধাপরাধীর নামসংবলিত তালিকা পাওয়া যায় এবং এর শীর্ষে আছে তৎকালীন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। ২০০ জনের ওই তালিকায় তিনজন পাকিস্তান নৌবাহিনী, তিনজন পাকিস্তান বিমানবাহিনী এবং বাকি ১৯৪ জন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর। ওই ২০০ যুদ্ধবন্দির মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল, মেজর জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার, কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার ৬৮ জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অভিযোগ রয়েছে। দুজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ৭৭ জন মেজর, ৩৭ জন ক্যাপ্টেন ও দুজন লেফটেন্যান্টের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধ আইন ও রীতি ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, এর বাইরেও পাকিস্তানি বাহিনীর অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনার সুযোগ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশিদের নিশ্চিহ্ন করতে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিকল্পনার সঙ্গে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেই সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। অনেকে পাকিস্তানে বসেই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আর যারা এ দেশে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এসেছিল, তাদের অনেকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগেই বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ায় তাদের নাম এসব তালিকায় আসেনি। যে ১৯৫ পাকিস্তানির বিচার নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল, তারা সবাই যুদ্ধবন্দি ছিল। ঝুলে আছে ঐতিহাসিক চার ইস্যু : স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের চারটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিষ্পত্তি হয়নি।
এগুলো হলো—মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, উত্তরসূরি রাষ্ট্র হিসেবে অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন এবং বাংলাদেশকে যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ প্রদান। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে আসা প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ঢাকায় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানে রক্ষিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ব্যাংকের লাহোর শাখায় স্থানান্তর করা হয়। ওই অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। সূত্র আরো জানায়, ১৯৭১ সালের আগে অখণ্ড পাকিস্তানের প্রায় ৪৩২ কোটি ডলার সমপরিমাণ সম্পদে হিস্যার জন্য বাংলাদেশ দাবি জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশ মনে করে, ১৯৭১ সালের আগে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ ওই সম্পদের ৫৬ শতাংশ, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবদান বিবেচনায় ৫৪ শতাংশ এবং সমতার নীতি অনুসরণ করলে ৫০ শতাংশের দাবিদার বাংলাদেশ। স্বাভাবিক সম্পর্ক এখনো বহুদূর : মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের অব্যাহতভাবে রাষ্ট্রীয় ও রাষ্ট্রীয় মদদে কটাক্ষ করায় দেশটির সঙ্গে সংগত কারণেই বাংলাদেশের সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ও উষ্ণতা নেই।
রাষ্ট্রদূতকে তলব ও কূটনীতিক প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের টানাপড়েনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। পাকিস্তানি বাহিনীর এ দেশীয় দোসর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার পর ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব এনেছিল। একে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছিল ঢাকা। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্ভাবনা আছে, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শীর্ষ পর্যায়ে তেমন কোনো সফর বিনিময় হয়নি। ২০১২ সালে পাকিস্তানে উন্নয়নশীল আট দেশের জোট ডি-৮ সম্মেলনে যাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।