সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক রাসেল আহমেদ ও তাঁর কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার যমুনা নদীর চর থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Read More News
পুলিশ, এলাকাবাসী ও কিশোরীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে সদর উপজেলার রাসেল আহমেদের সম্পর্ক ছিল। গতকাল বুধবার বিকেলে বিয়ে করার কথা বলে রাসেল মোবাইল ফোনে কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। পরে রাসেল ওই কিশোরীকে নিয়ে যমুনা নদীর চরে যান। সেখানে রাসেল তাঁর আরও পাঁচ সহযোগীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন। অভিযোগ উঠেছে, রাসেল ও তাঁর সহযোগীরা সারা রাত ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর অচেতন অবস্থায় চরের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। আজ সকালে এলাকাবাসী চরে ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই কিশোরীর ভগ্নিপতি দাবি করেন, রাসেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতকাল বিকেলে সে ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সারা রাত তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। ভোরে এলাকাবাসী চর থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আঞ্জুমান আরা খাতুন বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। পালাক্রমে ধর্ষণের কারণে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে সে শঙ্কামুক্ত।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল হুদা বলেন, ওই কিশোরীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper