চলন্ত বাসে দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মো. রনি (২৫), মো. তারেক (২৭), মো. নাসির (২৬), সুজন (২৫) ও দেবা দাস (২৬)। এরা সবাই বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতি পরিচালিত সেবা পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজার। বাড়ি নগরীর গড়িয়ারপাড় এলাকায়। ঘটনার শিকার দুই ছাত্রীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারের পর আসামিদের আদালতে আনা হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তারা। বিচারক বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দি শেষে জেলহাজতে পাঠান।
Read More News
বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) মাহাবুব আলম বলেন, ২২ জানুয়ারি সকালে গাড়িচালক মেহেদি হাসান ও তার স্ত্রী (১৮), মামাতো শ্যালিকা (১৭) এবং বন্ধু মাসুদকে নিয়ে কুয়াকাটা যান। সেখান থেকে অনন্যা পরিবহনের বাসে রওনা হলে রাত আড়াইটায় বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পৌঁছলে ওই সময় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে গাড়িতে রেখে দুই বন্ধু চা খেতে নামেন। অভিযুক্ত যুবকরা চাখার যেতে হলে তাদের শ্রেয়া গাড়িতে যেতে হবে বলে ওই গাড়িতে ওঠায়। এ কাজে অনন্যা পরিবহনের চালক মিজান ওই যুবকদের সহায়তা করে। স্ত্রী ও শ্যালিকাকে শ্রেয়া গাড়িতে ওঠালে মেহেদি ও তার বন্ধু মাসুদ দৌড়ে গিয়ে ওই গাড়িতে ওঠেন। এরপর দুই বন্ধুকে মারধর করে সিটের সঙ্গে বেঁধে চলন্ত বাসে দুই বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। আড়াই ঘণ্টা পরে ভোর সাড়ে ৫টায় গড়িয়ারপাড়ে তাদের নামিয়ে দেয়। ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে রেখে ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনার জন্য পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে বিচার চাইলে উল্টো মেহেদি এবং তার বন্ধুকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে মো. মেহেদি হাসান বাদী হয়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করলে রাতেই পুলিশ অভিযানে নেমে পাঁচজনকে আটক করে। এর মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী অনন্যা গাড়ির চালক মিজানকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
CoinWan Latest Banlga Newspaper