মরণেও মুক্তি নেই সেলফি থেকে। দাদার লাশের সঙ্গে সেলফি তুলে সেটা ফেসবুকে পোস্ট করেছে এক সৌদি কিশোর। এর পর থেকেই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।
নিজের ফোন দিয়ে সেলফিটি তোলে ওই কিশোর। এ সময় খানিকটা ভেংচিও কাটে সে। আর পেছনেই ছিল দাদার লাশ। ছবির সঙ্গে ছিল ক্যাপশন—‘বিদায় দাদা’।
Read More News
এই ছবি দেখে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সৌদি সরকার ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ডেইলি মেইল জানিয়েছে এ খবর।
সে সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীরা কীভাবে লাশের সঙ্গে সেলফি তুলতে অনুমতি দিলেন, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মদিনার প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল রাজ্জাক হেফাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল রাজ্জাক হেফাদ বলেন, ‘মদিনার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে। হাসপাতালের কোথায় ছবিটি তোলা হয়েছে এবং সে সময় হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কে ছিলেন, সেটাও দেখা হচ্ছে। দোষীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে।’
অভিযুক্ত কিশোরের এ ধরনের আচরণকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করে হেফাদ বলেছেন, এটি সামাজিক নৈতিকতার লঙ্ঘন।
CoinWan Latest Banlga Newspaper