নাড়ীর টানে-প্রাণের টানে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামে যাওয়া মানুষ, জীবিকার তাগিদে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছে। একদিকে বৃষ্টি আর শহরমুখী মানুষের অতিরিক্ত চাপে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেছে। সেই সাথে ঢাকা- ঘিওর ভায়া দৌলতপুর ও টাঙ্গাইল রুটেও যানবাহনের চাপ ও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ থাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচল করছে বিভিন্ন রুট থেকে আসা ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন। এতে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি চাপ পড়েছে। সেই সাথে বৃষ্টির দুর্ভোগ তো রয়েছেই। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, বানিয়াজুরি, বরংগাইল, উথলী, টেপড়া এলাকায় থেমে থেমেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানবাহন সু-শৃঙ্খল রাখতে এসব পয়েন্টে পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। শনিবার এ অবস্থা দেখা গেছে মহাসড়কসহ মানিকগঞ্জের তিনটি আঞ্চলিক সড়কেও। গার্মেন্টস কর্মী আরিফা আক্তার জানান, তিনি ঘিওর থেকে ঢাকার নবীনগর ভিলেজ লাইন নামক মিনিবাসে যাওয়ার পথে ৭০ টাকার ভাড়া দুই শ’ টাকা নেয়া হয়েছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি মাগুড়া থেকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে যেতে সরুপ সরকার নামক এক যাত্রীকে মাথা পিছু ভাড়া গুণতে হয়েছে পাঁচ শ’ টাকা করে। তাও আবার পরিবারের চারজন পৃথক স্থানের সিটে। তিনি জানান, এই রুটের নিয়মিত ভাড়া তিন শ’ টাকা। অথচ হাজারো যাত্রীদের কাছ থেকে এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলেও দেখার যেন কেউ নেই। যাত্রীদের কাছ থেকে কেন ২/৩ গুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে যাত্রীসেবা মিনিবাসের চালক মোঃ লোকমান মিয়া জানান, পাটুরিয়া থেইক্যা ১২০ টাকার ভাড়া, দেড়-দুইশো লইতাছি। একটু বেশি লইতাছি কিন্তু আওয়ার (আসার) সময়তো খালি আইন লাগবো। তহন তো গ্যাসের ট্যাকাও উঠে না। আমাগো তো মামা ঈদে কেউ বোনাস দেয় না। এ ব্যাপারে বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট মোঃ ইয়ামিন দৌলা জানান, ঢাকা, সাভার ও অন্যান্য এলাকার পোশাক কারখানাগুলো একত্রে ছুটি হওয়ায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের কিছুটা চাপ পড়েছে। তবে মহাসড়কের প্রায় সব পয়েন্টেই পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থান রয়েছে।
Read More News