মাতাল অবস্থায় কোন নারী যদি সেক্সে সম্মতিও দিয়ে থাকেন, আইনের চোখে তা কখনোই বৈধ বলে বিবেচিত হবে না। শনিবার এক গণধর্ষণ মামলার শুনানি চলাকালীন তা স্পষ্ট করে দিল ভারতের মুম্বাই হাইকোর্ট।
ভারতের পুনের এক যুবতীকে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তদের জামিন নিয়ে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ‘সম্মতি’র অর্থ ব্যাখ্যা করেন। পুনের ওই নিগৃহীতা অভিযোগ করেন, দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তারই এক সহকর্মী তাকে গণধর্ষণ করে। ঘটনার রাতে বন্ধুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়ার আগে, তাকে ওই সহকর্মী চার পেগ মদও খাইয়েছিল।
হাইকোর্ট জানায়, কোনও নারী মত্ত অবস্থায় যৌন সম্পর্কে নিয়ে সচেতন ভাবে কোনও সম্মতি দেওয়ার অবস্থায় থাকেন না। এমন অবস্থায় তিনি যদি সেক্সে সম্মতিও দেন, আইনের চোখে তার কোনও বৈধতা নেই। অপরাধ হিসবেই তা বিবেচিত হবে। ধর্ষণের অজুহাত হিসেবে ওই সম্মতিকে ঢাল করা যাবে না।
Read More News
আদালতের ব্যাখ্যা, যৌন মিলনের ক্ষেত্রে কোনও নারী যদি একবারও ‘না’ বলে থাকেন, ধরে নিতে হবে তিনি অনিচ্ছুক। এর পরেও সেক্স করলে, তা ধর্ষণের সামিল। তেমনই সেক্সে নারী যদি ‘হ্যা’ বলে থাকেন, ধরেই নেওয়া হবে সেই সম্মতি দ্ব্যর্থহীন ভাবেই নিয়েছেন। ফলে সেক্ষেত্রে আর ধর্ষণের অভিযোগ টিকবে না।
CoinWan Latest Banlga Newspaper