আরবি ‘কাফফারা’ শব্দটির অর্থ ক্ষতিপূরণ। মাহে রমজানের ফরজ রোজা রাখার পরে কোনো কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে ফেললে কাজা এবং কাফফারা উভয়টাই আদায় করা ওয়াজিব। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একবার এক লোক রমজান মাসের রোজা ভেঙে ফেলল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে দাস মুক্ত করার মাধ্যমে অথবা লাগাতার ষাট দিন রোজা রাখার মাধ্যমে অথবা ষাটজন মিসকিনকে খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে কাফফারা আদায় করার নির্দেশ দিলেন।
বর্তমানে যেহেতু পৃথিবীতে দাসপ্রথা আর অবশিষ্ট নাই সুতরাং দাস মুক্ত করে কাফফারা আদায় করার সুযোগও আর নাই। যাদের রোজা রাখার সক্ষমতা আছে তাদের রোজার মাধ্যমেই রোজার কাফফারা আদায় করতে হবে। আর যাদের রোজা রাখার মতো শারীরিক সক্ষমতা নাই এবং ভবিষ্যতেও তেমন সক্ষমতা ফিরে পাওয়ার আশা নাই শুধু তাদের জন্য মিসকিনকে খাদ্য দানের মাধ্যমে কাফফারা আদায়ের অনুমতি আছে।
Read More News
কাফফারার রোজা রাখার পদ্ধতি
লাগাতার ষাট দিন রোজা রাখতে হবে। এই ষাট দিনের মাঝে যদি এক দিনও কোনো কারণে ছুটে যায় তাহলে কাফফারা বাতিল হয়ে যাবে। পুনরায় প্রথম থেকে রোজা রাখতে হবে। কাফফারা রোজা এমনভাবে রাখতে হবে যেন নিষিদ্ধ সময় ষাট দিনের মধ্যে এসে না যায়। যেমন দুই ঈদের দিন ও ঈদুল আজহার পরের তিনদিন এবং নারীদের সন্তান প্রসবের সময়। কাজা ও কাফফারা উভয় রোজার নিয়ত সুবহে সাদিক এর পূর্বে করতে হবে।
খাদ্য দানের মাধ্যমে কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি
পূর্ণ খোরাক খেতে পারে এমন ষাট জন মিসকিনকে দুবেলা পরিতৃপ্ত করে খাওয়াতে হবে অথবা সাদাকায়ে ফিতরএ যে পরিমাণ গম বা আটা দেওয়া হয়ে উক্ত পরিমাণ প্রত্যেক মিসকিনকে দিতে হবে। একজন মিসকিনকে দুবেলা করে ষাট দিন খাওয়ালেও হবে। খাবার বা গমের মূল্য দিলেও আদায় হয়ে যাবে। ষাট দিনের খাবারের মূল্য অথবা গমের মূল্য একবারে একজনকে দিয়ে দিলে কাফফারা আদায় হবে না। তাতে একদিনেরটা আদায় হবে ঊনষাট দিনের বাকি থেকে যাবে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper