গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে বরিশালসহ উপকূলীয় এলাকা তলিয়ে গেছে। নগরীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। এতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। নগরীর খালগুলো দখল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এই দুর্দশার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী নগরবাসীর।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরিশাল-ভোলা এবং বরিশাল-ইলিশা মজুচৌধুরীর হাট রুটের লঞ্চ চলাচলে জারী করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অভ্যন্তরীন নদী বন্দরের জন্য ২ নম্বর এবং সমূদ্র বন্দরের জন্য ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে।
ভারী বৃষ্টির কারনে নগরীতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। নগরীর নবগ্রাম রোড, কালীবাড়ি রোড, বগুড়া রোড, মল্লিক রোডসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতাসহ আশপাশের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি এবং দোকানেও ঢুকে গেছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী।
Read More News
অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাসিন্দারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আবার যারা বাসা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন তারাও পড়েন যানবাহন সংকটে। বাসিন্দাদের বিভিন্ন সড়ক মোড়ে দীর্ঘক্ষণ যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় করতে দেখা গেছে। যানবাহন পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন নগরবাসী।
নগরবাসীর অভিযোগ, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নীচে থাকার পরও নগরীর প্রবাহমান খালগুলো দখল-ভরাট এবং ড্রেনগুলো ঠিকভাবে পরিস্কার না করায় জলাবদ্ধতায় পড়ছেন তারা।
সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেছেন, নগরীর ২৪টি খাল পুনঃখননের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২৩০ কোটি টাকার প্রকল্প জমা দেয়া আছে। এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে খালগুলো পুনঃখনন করা হবে, তাহলে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।