জটিল এক মুহূর্তে হামলা-হত্যা-নির্যাতনের শিকার জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের পরিস্থিতি দেখতে তিন দিনের মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন ক্যাথলিক চার্চপ্রধান পোপ ফ্রান্সিস। আজ সোমবার এই ধর্মগুরুর দেশটির রাজধানী নেপিদোতে পৌঁছার কথা রয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই সফরে পোপ যেন ‘রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা’র খাতিরে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করেন, সে জন্য তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দেশটির খ্রিস্টান ধর্মের পক্ষ থেকে। যদি এর আগে পোপ ‘রোহিঙ্গা ভাইবোন’ শব্দটি ব্যবহার করে তাদের প্রতি সহমর্মিতার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ফলে এখন দেখার বিষয়, পোপ তাঁর এ সফরের সময় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেন কি না?
Read More News
এর আগেও রাখাইনের সহিংসতা নিরসনে মিয়ানমার সরকার গঠিত কমিশনের প্রধান ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ও মিয়ানমারের কার্ডিনাল চার্লস মং বো পোপ তাঁর সফরের সময় যেন ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করেন, তার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। খ্রিস্টানরাও মিয়ানমারে সংখ্যালঘু। যদিও এর বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, যারা এরই মধ্যে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত এই দেশহীন জনগোষ্ঠীকে’ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘রোহিঙ্গা’ বলেই অভিহিত করে আসছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমার সফরে শেষে বাংলাদেশে আসবেন। আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকায় অবস্থান করবেন।
ভ্যাটিকান থেকে জানানো হয়েছে, পোপের এই সফর মিয়ানমার থেকে ‘জাতিগত নিধনের’ শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন, সংকট নিরসনে আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোকে বেগবান করার কাজকে উৎসাহিত করবে। মিয়ানমার সফরকালে পোপ দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাপ্রধান অং মিন হ্লাইয়েংর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মিয়ানমারের পাঁচ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে ক্যাথলিকের সংখ্যা ছয় লাখ ৬০ হাজার। পোপ সেখানে ইয়াঙ্গুন শহরে এক উন্মুক্ত সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া তিনি বৌদ্ধ নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন।
CoinWan Latest Banlga Newspaper