মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে দেয়া ভাষণে পোপ বাংলাদেশের মানবিক অবস্থানের প্রশংসা করেন।
বক্তব্যে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি এড়িয়ে গিয়ে পোপ বলেন,’মিয়ানমারের রাখাইন থেকে আসা বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দিয়ে এবং বাংলাদেশের সমাজ উদার মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে।’
সহিংসতার শিকার হয়ে রোহিঙ্গাদের মত বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অবর্ণনীয় কষ্টের মানবিক বিপর্যয়ের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
রাখাইনের শরণার্থীদের মানবিক সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই চরম সংকট দূর করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ। রাজনৈতিকভাবে এই সংকট দূর করার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ।’
Read More News
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস বঙ্গভবনে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভয়ভীতি ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করে মন্তব্য করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে পোপসহ বিশ্বনেতাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভোজে যোগ দেন পোপ ফ্রান্সিস।
সফরসূচি অনুযায়ী ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে বঙ্গভবনে পৌঁছান পোপ ফ্রান্সিস। সাড়ে ৫টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান পোপ ফ্রান্সিস।
CoinWan Latest Banlga Newspaper