কানাডায় শুরু হয়েছে জি-৭ সম্মেলন, সম্ভবত শেষও হতে চলেছে উল্লেখযোগ্য কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই। যুক্তরাষ্ট্র ও প্রধান শিল্পোন্নত দেশগুলোর বিরোধ মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে এই সম্মেলন।
শুক্রবার সম্মেলনের প্রথম দিনই এই বিরোধ চোখে পড়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য বিষয়ে। গত ১ জুন ইইউ, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
Read More News
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ৬ মিত্র দেশের নেতারা এই শুল্ক আরোপ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, ঐক্যের মিথ্যা আশ্বাসের চেয়ে বিরোধের সমাধান করা জরুরি। সবকিছু ঠিক আছে বলার চেয়ে এ বিষয়ে সততা অনেক দরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপকে ‘অবৈধ’ বলেছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইউরোপীয়ান কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাস্ক বলেছেন, তারা নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আদেশকে হুমকিতে ফেলে দিচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ করতে চান। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সবদল ঐক্যমতে পৌঁছাবে বলে তিনি আশাবাদী।
এছাড়া অন্যরা এখনো বিশ্বাস করেন কিছু বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অগ্রগতির বিষয়ে আশাবাদী। তবে ট্রাম্প যে বিচ্ছিন্ন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
দলগত সমাধান ট্রাম্পের অপছন্দ এবং তিনি হয়তো সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই কানাডা ছাড়বেন। তার পরবর্তী গন্তব্য সিঙ্গাপুর। সেখানে নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে, সেখানে তারা দুজনের মধ্যে একান্ত কথোপকথন হবে এবং এটিকেই তিনি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
সম্মেলনের এক পর্যায়ে জি-৭ থেকে বহিস্কৃত রাশিয়াকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন ট্রাম্প। তবে জার্মান চ্যান্সেলর মেরকেল বলেন, অন্য সদস্যরা এই ধারণার বিরোধী।
এবারের সম্মেলনের নির্ধারিত বিষয়গুলো ছিল, ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, বৈশ্বিক নিরাপত্তা, ভবিষ্যতের চাকরি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্র।
তবে সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, শনিবারে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ এবং সম্ভবত লৈঙ্গিক সমতা নিয়ে আলোচনায় থাকবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প।
CoinWan Latest Banlga Newspaper