ভারতের মেঘালয় থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা চারদিন ধরে বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জ সদর ও তাহিরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সীমান্তনদী ও সীমান্ত এলাকায় ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালি-পাথর উত্তোলন ও কয়লা–চুনাপাথর পরিবহণের কাজ বন্ধ থাকায় গত তিনদিন ধরে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে পড়েছেন।
Read More News
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা শহরের ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে সুরমার পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে একই দিন সকাল থেকেই তাহিরপুরের জাদুকাঁটা, বৌলাই পাটলাই সহ জেলার অন্যান্য সীমান্তনদীগুলো দিয়েও বিপদসীমার উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হয়েছে।’
ঢলের পানিতে ডুবে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধা পর্যন্ত জেলা সদরের সঙ্গে বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুরে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে জেলা সদরের বেশ কয়েকটি পাড়া মহল্লা ছাড়াও জেলা সদরের বাহিরে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর , দোয়ারাবজার, দিরাই ও শাল্লা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের পানি আসা অব্যহত থাকলে দ্রুতই জেলা জুড়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
বন্যা মোকাবেলা করার জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।