আজ শনিবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাতে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতের পর তিন সিটিতে বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করেছেন।
ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন সিটিই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, নির্বাহী-বিচারিক হাকিমসহ মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ইসির চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে।
Read Our More News
গত কয়েকদিনের প্রচারণায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আধুনিক নগর গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা।
এদিকে, ভোটের আগে দেয়া ইশতেহার, পুরোপুরি বাস্তবায়ন কঠিন হলেও সে চ্যালেঞ্জ নিতে সদিচ্ছা থাকা জরুরি বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দিনরাত মাঠ চষে বেড়ানো, সিলেট সিটি নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন গত বুধবার। ৩৩ দফা ওই ইশতেহারে নগরবাসীর সামনে তুলে ধরেন দেশের প্রথম ডিজিটাল নগর গড়ে তোলার স্বপ্ন। জানান সিলেটকে নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা।
এর একদিন পর নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় ‘নতুন আগামীর সিলেট’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সদ্য সাবেক এই মেয়র। উন্নয়ন অঙ্গীকার দিতে পিছিয়ে নেই অন্য মেয়র প্রার্থীরাও। নাগরিক সমাজ বলছে, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সদিচ্ছা থাকাটা জরুরি।
এদিকে, সময় ঘনিয়ে আসায় প্রার্থীদের প্রচারণার মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী সিটির ভোটাররা। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে নগরবাসীকে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী।
ভোটারদের মন জয়ে নানা অঙ্গীকার করছেন অন্যান্য প্রার্থীরাও। তবে নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লার আলোচনায় এখন শুধু ভোটের হিসেব। দলীয় প্রতীক নয়, নগরের অভিভাবক নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীকেই এগিয়ে রাখছেন ভোটাররা।
এক্ষেত্রে কঠিন হলেও ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সিলেটে ৭জন, রাজশাহীতে পাঁচজন এবং বরিশালে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
CoinWan Latest Banlga Newspaper