আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিলেন। শহীদ মিনারে শেষবারের মতো তাকে দেখতে ছুটে আসেন সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্টজনেরা। এসেছিলেন তরুণ শিল্পীরাও, যাদের কাছে বড় অনুপ্রেরণার নাম ‘আনোয়ার হোসেন’। উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সে বসবাসরত তার দুই সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা। আলোকচিত্র এবং চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই অনন্য এ প্রতিভা চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
Read More News
মুক্তিযুদ্ধের নানা ক্ষণ, আত্মত্যাগ আর সংগ্রামের ইতিহাস হয়ে আছে তারই তোলা অসংখ্য আলোকচিত্র। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে পড়ার পরেও ছবি তোলার নেশা তাকে করেছে ঘরছাড়া। অর্থবিত্ত, প্রতিষ্ঠার চেয়ে শিল্প তৈরিতে মগ্ন হয়ে ছিলেন পুরোটা জীবন। প্রচার বিমুখ এ ক্যামেরার যাদুকরের চির বিদায়ে তাকে শ্রদ্ধার আয়োজন তাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
তার অসংখ্য আলোকচিত্র এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তারপরও, দেশের চলচ্চিত্র তাকে পেয়েছে অনন্য প্রতিভা হিসেবে। সূর্য দীঘল বাড়ি, অন্যজীবন, লালসালু, চাকা, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, দহনের মতো চলচ্চিত্রে তার দৃষ্টিন্দন চিত্রগ্রহণ শুধু জাতীয় পুরস্কারই এনে দেয়নি, দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও।
তার কর্মজীবনের একটি বড় সময় তিনি কাটিয়েছেন ফ্রান্সে। গত ৩০ নভেম্বর তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিলো ৭০ বছর।
CoinWan Latest Banlga Newspaper