খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে ব্যাংক খাত দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে ব্যাংকিং খাত। গ্রাহকের ফাঁদে পা দিয়ে যাচাই-বাছাই না করেই ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এসব ঋণ আদায় করতে না পারায় বাড়ছে খেলাপি ঋণ। যার প্রভাব পড়ছে ব্যাংকের মূলধনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের মার্চ শেষে মূলধন সংকটে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি ১০ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা।
Read More News
দীর্ঘদিন পর ঘাটতির তালিকা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক বের হয়ে আসতে পারলেও এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংক।
এছাড়া ঘাটতিতে থাকা অন্য ব্যাংকগুলো হচ্ছে- রাষ্ট্রায়ত্ব বেসিক, জনতা, অগ্রণী, বাংলাদেশ কৃষি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে এবি, বাংলাদেশ কমার্স, আইসিবি ইসলামী ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ব্যাংক তো নিজে থেকে সংকটে পড়ে নাই। সংকটে পড়ার পেছনে মালিক পক্ষ এবং ব্যাংক পরিচালনাকারী উভয়ই দায়ী। তাদের পরিচালনার দক্ষতার অভাবেই সংকটে পড়েছে ব্যাংক। এটা ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি অপসংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে অটোমেটিক্যালি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব চলে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর।
CoinWan Latest Banlga Newspaper