দক্ষিণ মুম্বইয়ের অত্যন্ত ঘিঞ্জি অঞ্চল বলে পরিচিত ডোংরিতে মঙ্গলবার চারতলা একটি বাড়ি ভেঙে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও কয়েক জন চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও রাত পর্যন্ত শতাব্দীপ্রাচীন ওই বাড়ির ধ্বংসস্তূপ সম্পূর্ণ ভাবে সরানো সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেই এ পর্যন্ত ৭ জনকে তাঁরা জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছেন। তার মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই শিশুটি বিপন্মুক্ত বলে আশ্বস্ত করেছেন ডাক্তাররা। মঙ্গলবার সকালে আব্দুল হামিদ দুর্গার ট্যান্ডেল স্ট্রিটের কেশরবাই বিল্ডিংটি ভেঙে পড়ে।
Read More News
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বাড়িটি ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার কথাও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাড়িটি এক’শো বছরের পুরনো হলেও বিপজ্জনক ভবনের তালিকায় ছিল না। তা সত্ত্বেও পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে, কেশরবাই বিল্ডিং সংস্কারে হাত দেওয়া হয়েছিল। একজন ডেভেলপার কাজ করছিলেন। সেই ডেভেলপারের তরফে কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুম্বইয়ে বাড়ি ভেঙে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে জোরালো শব্দে বাড়িটি ভেঙে পড়ে। শতাব্দীপ্রাচীন বাড়িটিতে ১৩-১৪ পরিবারের বাস।
মুম্বই ফায়ার ব্রিগেডের এক সিনিয়র অফিসার জানান, রাস্তা সরু হওয়ায়, দুর্ঘটনাস্থলে কোনও যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। যার জন্য উদ্ধারকাজে বিলম্ব হচ্ছে।