কিশোরগঞ্জ শহরে নরসুন্দা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে পাগলা মসজিদ। দুই শতাব্দী পুরনো মসজিদটি দেশজুড়ে পরিচিতি। তার এই পরিচিতি আবার ভিন্ন কারণে। আর সেটা হচ্ছে এর দানবাক্স খুললেই মিলে কোটি টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। এবারও মিলেছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা।
Read More News
শনিবার (২৬ অক্টোবর) পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে গণনা করে পাওয়া গেছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা। এছাড়া পাওয়া গেছে প্রচুর বৈদেশিক ও দেশীয় খুচরা মুদ্রা এবং স্বর্ণালংকার। তিন মাস পর লোহার সিন্দুকের এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এর আগে গত ১৩ জুলাই দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিলো ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা।
সকাল ৯টা থেকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মীর মো.আল কামাহ্ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদল হাসান, উবাইদুর রহমান সোহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকতউদ্দিন ভুঁইয়া, রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্রের তত্ত্বাবধানে টাকা বাছাই ও গণনার কাজ শুরু হয়। গণনা চলে বিকাল পর্যন্ত।
মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক, মসজিদ কমিটির লোকজন টাকা বাছাইয়ের পর টাকাগুলো বস্তায় ভরেন। পরে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ টাকাগুলো গুনে নেন। পাগলা মসজিদের নামে রূপালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে এই টাকা জমা হয়।
পাগলা মসজিদ ঘিরে অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদে আসেন। তারা দান ও মানত করে যান। এছাড়া প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে আসে। এগুলো বিক্রি করে ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনও এই মসজিদে এসে দান ও মানত করেন।
CoinWan Latest Banlga Newspaper