ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
Read More News
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের অন্যতম নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মনি। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তারও হয়েছে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই কিলিং মিশনে অংশ নেন মনি। গত ২১ অক্টোবর একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন দিয়েছে তিনি। তাই প্রশ্ন উঠেছে এ সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যে রায় দিয়েছেন তা কার্যকর হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে। কারণ আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করবেন। পেপারবুক তৈরি হবে এবং এটা আপিল বিভাগে যাবে। ফুল কোর্টে শুনানি হবে। তাছাড়া আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। এ প্রক্রিয়াটিতে কয়েক বছর সময়ও লেগে যেতে পারে। ততদিনে কামরুন নাহার মনির বাচ্চা বড় হয়ে যাবে। বাচ্চা তার পিতার জিম্মায় চলে যেতে পারবে। তখন কামরুন নাহার মনির শাস্তি কার্যকর হতে পারবে।
উচ্চ আদালতে মনির দণ্ড লাঘব হলেও শিশুটি ভবিষ্যতে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হবে। হত্যা মিশনে কামরুন নাহার মনির যে ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছেন তার সাজা তাকে ভোগ করতেই হবে।