ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) মজনু (৩০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে ভিকটিম ছাত্রীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম জানান, মজনু তার আগের অপকর্মগুলোর কথা নিজেই স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। মজনু জানিয়েছে, তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নিজের খারাপ অবস্থার কারণে তিনি আর বিয়ে করতে পারেনি। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন প্রতিবন্ধী নারী এবং ভিক্ষুককে ধর্ষণ করেছেন।
র্যাব জানায়, মজনু মূলত মানসিক প্রতিবন্ধী নারীদের টার্গেট করতেন এবং সুযোগ বুঝে তাদের ধর্ষণ করতেন। এই প্রথম তিনি প্রতিবন্ধী নয়-এমন কাউকে ধর্ষণ করেছেন। তিনি নিজে সেদিন গিয়েছিলেন কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। এরপর ওঁৎ পেতে ছিলেন।
সারোয়ার বিন কাসেম বলেন, মজনু ছিল মাদকাসক্ত। এ ধরনের মাদকাসক্তরা তাদের হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আর তখন এ ধরনের কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
Read More News
এর আগে রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে আটকের পর মজনুকে গ্রেফতার দেখিয়েছে র্যাব। গ্রেফতার যুবকের কাছ থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন, চার্জার ও ব্যাগ পাওয়া গেছে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তির ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন।
গত রোববার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞাত এক যুবক। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৩০-৩৫ বছরের এক যুবককে আসামি করা হয়।
CoinWan Latest Banlga Newspaper