বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টায় নেমেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, চীন সহ বিভিন্ন দেশ একাধিক কার্যকরী ওষুধ পাওয়ার দাবি করেছে। তবে এখনো বৈশ্বিক পর্যায়ে কার্যকরী কোনো ওষুধের ঘোষণা দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Read More News
এদিকে, সমপ্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটির পরীক্ষামূলক টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। তবে সে টিকার ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে কিছুদিন। এমতাবস্থায় এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে, করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন কিছু ওষুধের নাম তুলে ধরা হয়েছে।
চীনে আশঙ্কাজনক করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ভাইরাসটির প্রভাব কমাতে চিকিৎসকরা জ্বালাপোড়া-বিরোধী একটি ওষুধ ব্যবহার করেছেন। ওষুধটি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের সঙ্গে এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার নিয়ে কথা বলছে। টসিলিজুমাব নামের এই ওষুধটি বিক্রি হয় এক্টেমরা নামে। এটি প্রস্তুত করে থাকে সুইস ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা রোস। চীনা চিকিৎসকরা করোনা আক্রান্তদের দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখতে এটি ব্যবহার করেছেন। এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে এমন ২০ জন রোগীর মধ্যে ১৯ জনই পরবর্তীতে দুই সপ্তাহের মধ্যে মোটামুটি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ও একজনের সার্বিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এমনটা জানিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। চীনে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
রোসের একজন মুখপাত্র কারস্টেন ক্লেইন জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় তাদের ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরুর ব্যাপারে আলোচনায় রয়েছে।
এদিকে, নিউ ইয়র্কে করোনা নিরাময়ে পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সানোফি ও রিজেনেরন। সহযোগী প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে কেভজারা নামের একটি ওষুধ ব্যবহার করবে। এ ছাড়া, এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ কালেত্রা/আলুভিয়া প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আবভিয়ে করোনার চিকিৎসায় তাদের ওষুধের কার্যকারিতা নিশ্চিতের ব্যাপারে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম অনুসারে, চীনে ওষুধটি করোনার চিকিৎসায় কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি এনবিসিকে জানিয়েছে, এমন তথ্য নিশ্চিত করতে পারছে না তারা। চীনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তাদের সঙ্গে এমন কোনো তথ্য জানায়নি। তবে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা করোনার বিরুদ্ধে এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ নিয়ে গবেষণা করছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়াও।
করোনার চিকিৎসায় ইবোলার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ওষুধও প্রয়োগের চিন্তা করা হচ্ছে। বায়োটেকনোলজি কোমপানি গিলিয়াড সায়েন্সেস-এর রেমডেসিভির নামের একটি ওষুধ ইবোলা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ২০১২’র দিকে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মারস প্রতিকারে এটি সফল প্রমাণিত হয়েছে। মারস আক্রান্ত বানরের ওপর ওষুধটি প্রয়োগে বানরগুলো ভাইরাসের প্রভাব থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেছে। এখন চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) চিকিৎসায় এটি ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper