দীর্ঘ আট বছরের সংসার জীবনের ইতি টানলেন রূপালি পর্দা কাঁপানো লাস্যময়ী অভিনেত্রী কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর (শাবনূর)। এরিমধ্যে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে তালক চেয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্বামী কাওসার আহমেদ অনিকের কাছে নোটিশও পাঠিয়ে দিয়েছেন। শাবনূরের অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়ায় অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছেন অনিক। আর এ কারণে তিনি সন্তান এবং স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকেন।
Read More News
বুধবার (০৪ মার্চ)শাবনূরের স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় জানান, তিনি ডিভোর্সের বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি কোনো ধরনের নোটিশ হাতে পাননি। উল্টো জানতে চেয়েছেন কে বা কারা এই ধরনের খবর ছড়িয়েছে। অনিক বলেন, আজ সকালেই শাবনূরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কিন্তু ডিভোর্স নিয়ে তো কোনো কিছু বলেননি।
এরিমধ্যে আইনজীবীর মাধ্যমে তালক চেয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্বামী কাওসার আহমেদ অনিকের কাছে নোটিশও পাঠিয়ে দিয়েছেন। শাবনূরের অভিযোগ, তাদের একমাত্র ছেলের জন্মের পর থেকেই দূরে সরে যান অনিক। অস্ট্রেলিয়ায় একজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করতে থাকেন। অনেক চেষ্টা করেও সুরাহ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তালাক দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। পরের বছর ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক ছেলের জন্ম হয়। প্রায় ছয়টা বছর নীরবে তার অত্যাচার সহ্য করেছি। চেয়েছি মুসলিম মেয়ে, সংসারটা আগলে রাখবো। পারিনি।
ডিভোর্সের ব্যাপারে শাবনূর বলেন, আমি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি অনিককে। আসলে আমার কিছু করার নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
গত ২৬ জানুয়ারি নিজের স্বাক্ষরসহ বিচ্ছেদপত্র অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে স্বামী অনিককে পাঠান তিনি। জানা গেছে, নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper