করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় জাপানি ওষুধ ”ফাভিপিরাভির” পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প ডোজে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন।
ওষুধটি সাধারণত ফ্লুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে গত মাসে চীন দাবি করেছে, তারা করোনার চিকিৎসায় ওষুধটি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে। বহু দেশ করোনা মোকাবিলায় ওষুধটি ব্যবহারের চিন্তা করছে। এমনকি বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মা ও জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস উৎপাদন করবে।
বাংলাদেশে ফ্যাভিপিরাভির ওষুধটি তৈরি করে রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বিকন ফার্মা। বেক্সিমকো শুধু ফ্যাভিপিরাভির নয়, প্রচলিত যেসব ওষুধ করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে, তার একটি বাদে সব তৈরি করছে। চাহিদা অনুযায়ী এসব ওষুধ তারা সরকারকে দেবে।
Read More News
বিকন ফার্মা ফ্যাভিপিরাভির ওষুধটি তৈরি করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরকে দিয়েছে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য। ওষুধটির কার্যকারিতা পাওয়া গেলে বাণিজ্যিক উৎপাদন করা যাবে। ওষুধটি মূলত ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য জাপানের ফুজি তৈরি করেছিল। চীনারা এটি প্রয়োগ করে সুফল পায়।
এসব ওষুধ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়েই তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিগুলো। বেক্সিমকো ও বিকনের বাইরে আরও দু-একটি কোম্পানি ওষুধগুলো তৈরির অনুমোদন নিয়েছে। এর মধ্যে একটি জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস।
ওষুধটির জেনেরিক নাম ফ্যাভিপিরাভির। জাপানি কোম্পানি ফুজি ফিল্মের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তোয়ামা কেমিক্যাল ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসার জন্য এটি তৈরি করেছিল। তাদের ওষুধটির ব্র্যান্ড নাম অ্যাভিগান। সাধারণ ঠান্ডা-সর্দির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় অ্যাভিগান নামে ওষুধটি, যেটির জেনেরিক নাম ফ্যাভিপিরাভির। এই ওষুধ ব্যবহার করে করোনা চিকিৎসায় দারুণ সাফল্য পায় বলে দাবি করে চীন।
বোস্টন গ্লোবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের তিনটি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসায় স্বল্প ডোজে ফাভিপিরাভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ। ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল, উইনেমন’স হসপিটাল ও ইউমাস মেমোরিয়াল হেলথ কেয়ারে এই পরীক্ষা চালানো হবে। ৫০ থেকে ৬০ জন রোগীর উপর ওষুধটি প্রয়োগ করে দেখা হবে। চীনে ৩৪০ জন রোগীর উপর চালানো এক পরীক্ষায় ওষুধটির কার্যকারিতা দেখা গেছে।