দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ২৬ জেলায় এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহ হচ্ছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে পটুয়াখালীতে দুজন, যশোরে তিনজন, ভোলায় একজন, পিরোজপুরে একজন,সাতক্ষীরায় একজন এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় তার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
Read More News
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব জেলায় ঘরবাড়ি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও নষ্ট হয়েছে। এসব ঘরবাড়ি সংস্কার ও নির্মাণে প্রতি জেলায় ৫০০ বান্ডিল টিন এবং ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ডা. এনাম বলেন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে পাট, আম, লিচু ও মুগ ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে, প্রায় ১৫০ কোটি টাকার আমের ক্ষতি হয়েছে। ২০০টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার বেশির ভাগ বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলায় অবস্থিত।
প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৮৪টি জায়গায় বাঁধের ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফাটল ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামীকাল থেকে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনেক জায়গায় ডাক বিভাগের টেলিফোন লাইন সমূহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে যা শীঘ্রই মেরামত করা হবে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper