করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১৭ মার্চ থেকে ফ্রান্সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। স্কুল খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে ৭০জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ফ্রান্সে। দেশের শিক্ষা মন্ত্রী এমনটাই জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে ফ্রান্সে এক লক্ষ আশি হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং আটাশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত দুমাস ধরে লকডাউন চলার পর, ফ্রান্সে ধীরে ধীরে এই ব্যাপারে কিছু নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা শুরু হয়। যার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিছু দোকানপাট, প্রি স্কুল এবং এলিমেন্টারি স্কুল খোলা হবে। সে ক্ষেত্রে ঠিক করা হয় কোনও ক্লাসে প্রি স্কুল স্তরে ১৫ জনের বেশি ছাত্র থাকবে না এবং অন্য স্কুলের ক্লাসে ১০ জনের বেশি ছাত্র থাকবে না।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী জিন মাইকেল ব্ল্যানকোয়ার জানিয়েছেন, স্কুল খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে ৭০টি নতুন করোনা আক্রান্তের কেস পাওয়া গিয়েছে। তার মতে, অনিবার্যভাবে এমন ধরনের কিছু একটা ঘটবে। প্রায় সবকটি সংক্রমণের ঘটনাই ঘটেছে স্কুলের বাইরে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি মন্ত্রী জানান, যেখানে খোলার পরে ১.৪ মিলিয়ন ছাত্র স্কুলে ফিরেছে সেই অনুপাতে ৭০জন আক্রান্ত হওয়াটা সংখ্যাটা নেহাতই নগণ্য।
Read More News
যেসব স্কুলগুলিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে সেগুলি অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্স ইউরোপ সেইসব দেশগুলির মধ্যে রয়েছে যেখানে লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল হওয়া শুরু হয়েছে । ওইসব দেশ গুলির মধ্যে রয়েছে- জার্মানি ডেনমার্ক নরওয়ে চেক রিপাবলিক এবং পোল্যান্ড।
এদের মধ্যে অনেককেই সতর্ক করা হয়েছে যেন গোটা প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে করা হয় এবং সব সময় নজরদারি রাখা হয়। গত মাসেই ডেনমার্ক ইউরোপের মধ্যে প্রথম দেশ যেখানে স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছিল। যা দেখে অবশ্য সেখানে অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন-তাদের ছেলেমেয়েদের সরকার তার নীতি পরীক্ষার জন্য গিনিপিগের মত ব্যবহার করছে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper