দেশের সেরা সুন্দরীর শিরোপা জিতে বলিউডে এসেছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। আর এখানে এসে নিজের অভিনয়দক্ষতা, নাচ ও গ্ল্যামারের জাদুতে মন জয় করে নিয়েছেন অসংখ্য দর্শকের। প্রকৃতি, যোগাসন ও পশুপ্রেমী জ্যাকলিন মানুষের মধ্যে ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দিতেই পছন্দ করেন। করোনাভাইরাসের এই কালবেলাতেও এক নতুন পৃথিবীর আশায় দিন কাটাচ্ছেন নায়িকা।
সম্প্রতি একটি শীর্ষ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যাকলিন নিজের মনের কথা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি আশা করি যে একটা নতুন পৃথিবী আমরা দেখতে পাবো। যে পৃথিবীতে আমরা অনেক বেশি সচেতন হব। আমরা দূষণ তৈরি করে এমন ট্রাফিক জ্যামে বেশি সময় অপচয় করব না। রাস্তাঘাট ও বাতাসকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। সেদিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে।’
Read More News
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জ্যাকলিন বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এই সময়টা পৃথিবী নিজেই খানিকটা সময় পেয়েছে নতুন করে বেঁচে ওঠার জন্য।’ তাঁর আশা, ‘সবাই বুঝতে পারবেন এটার প্রয়োজন ছিল কতখানি। আমরা যেন এভাবেই বেঁচে থাকতে পারি। বাতাস অনেক বেশি শুদ্ধ হয়েছে। পশুরাও রাস্তায় বেরিয়ে আসছে। এটা খুবই সুন্দর। পৃথিবীকে অনেক বেশি করে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করতে হবে মানবজাতিকে।’
লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় বহু মানুষের সংসার প্রায় পথে বসতে বসেছে। অনেকেরই পরিস্থিতি এমন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আবেদন জানাতে হয়েছে। অনেকে আবার পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে অবসাদে ডুবে গিয়ে শেষ করে দিয়েছেন নিজের জীবনকেই। এই সব পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন রুপোলি পর্দার কর্মীরাও। তবে বলিউডের শ্রীলঙ্কান সুন্দরী অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এই লকডাউনেও সমান ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর দাবি, কাজের ক্ষেত্রে কখনও মনে হয়নি আমার জীবনে লকডাউন চলছে, আমি ভাগ্যবতী!
জ্যাকলিন বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমার মুভি রিলিজ, প্রোমোশানস, সলমানের সঙ্গে গান, বাদশার সঙ্গে গান, ম্যাগাজিন শ্যুট এবং শো এমন নানা কিছু নিয়েই লকডাউন কাটল আমার। কাজের দিক থেকে লকডাউন ছিল না আমার, ভাগ্য ভালো।’
কাজের দিক থেকে শেষ তাঁকে নেটফ্লিক্সে মিসেস সিরিয়াল কিলার ছবিতে দেখা গিয়েছে। বিপরীতে ছিলেন মনোজ বাজপেয়ী। এ বছর সলমান খানের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো সং মুক্তি পেয়েছে তাঁর।
CoinWan Latest Banlga Newspaper