অফিসে ডেকে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিক পাস ওই তরুণী কয়েকদিন আগে চাকরির জন্য ঢাকায় আসেন। তিনি বাড্ডার হোসেন মার্কেটের পেছনে ময়নারবাগ এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেন। সেখানেই এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই ব্যক্তি তাঁকে প্রগতি সরণির শেল্টার সিকিউরিটি সার্ভিসেস বিডি লিমিটেডে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এর মধ্যে তরুণী একটি অনলাইন শপিং গ্রুপের সঙ্গেও যুক্ত হন। গতকাল শুক্রবার ওই ব্যক্তি চাকরির কথা বলে তরুণীকে প্রগতি সরণির গ ৯৭/১ নম্বর এই ভবনের চারতলার ওই কোম্পানির অফিসে নিয়ে যান। ওই ব্যক্তি অফিসের দরজা বন্ধ করে তরুণীকে ধর্ষণ করেন এবং দ্বিতীয় আসামি অপারেশন ম্যানেজার শহিদুল হক (৪৫) রুমের দরজা বাইরে থেকে তালা মেরে দেন। সিকিউরিটি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাহিদ হাসানও ধর্ষণে সহায়তা করেন।
Read More News
দুপুর আড়াইটার দিকে তরুণী লজ্জায় কাউকে কিছু না বলে বাসায় ফিরে যান এবং অনলাইন শপিং গ্রুপের সহকর্মীদের কাছে ঘটনা খুলে বলেন। সহকর্মীরা তাঁকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে বাড্ডা থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত জানায় এবং ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করেছেন। আজ দুপুরে তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper