আল-জাজিরায় সাক্ষাৎকার দেয়ার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশি রায়হান কবিরকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনতে চায় বাংলাদেশ। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এরই মধ্যে রায়হানের সঙ্গে দেখা করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, আইনগত সহায়তার যে প্রক্রিয়া সেটাও শুরু হয়েছে। রায়হানের আটকের বিষয়ে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পরপরই তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কনস্যুলার একসেস চায় ঢাকা।
Read More News
গত রোববার মালয়েশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের মাধ্যমে রায়হানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ মিশনের ডেজিগনেটেড অফিসার। পররাষ্ট্র সচিব জানান, রায়হান ইস্যুতে মালয়েশিয়ানদের মধ্যে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তা নিরসনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে ফেরাতে চায় বাংলাদেশ। কুয়ালালামপুরের সঙ্গে ঢাকার যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার সুরক্ষার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে তারা তাকে ফেরত পাঠাবে কিনা? বিষয়টি একান্তই মালয়েশিয়ান আইন এবং দেশটির সরকারের সিদ্ধান্ত। যদি কুয়ালালামপুর তাকে ফেরত পাঠাতে রাজি হয়, তাকে গ্রহণে ঢাকার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিলম্ব করা হবে না।
এদিকে, রায়হানের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সারা বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। তারা বলছে, মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের বাস্তবচিত্র আল-জাজিরার কাছে তুলে ধরার কারণেই দেশটির সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন রায়হান কবির। তার সঙ্গে মালয়েশিয়ার সরকার যে আচরণ করছে তা প্রতিশোধমূলক বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো মন্তব্য করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩রা জুলাই কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা টেলিভিশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস মহামারিতে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে সরকারের নিপীড়ন নিয়ে কথা বলেন রায়হান কবির। এর জের ধরে ২৪শে জুলাই গ্রেপ্তারের পর তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
CoinWan Latest Banlga Newspaper