মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা মজুমদার পাল। মাতৃদিবসে নিজের হাতে একটি ছবি এঁকেই তিনি দিয়েছিলেন সেই সুখবর। সদ্য হয়ে গেল তাঁর সাধভক্ষণের অনুষ্ঠান।
শাশুড়ি মা আর আমার স্বামী সৌমিত্র মিলে এই সব আয়োজন করেছে। আমি যা যা খেতে ভালোবাসি সব সুন্দর করে রেঁধে সাজিয়ে আমায় খেতে দিয়েছে। ফুল দিয়ে সুন্দর করে বাড়ি সাজিয়েছে। তবে এদিন আমার শরীরটা একটু খারাপ থাকায় খুব বেশি সেজে গুজে ছবি তোলা হয়নি। তবুও নিজের মতো করে একটু সেজেছি। আমার ডক্টর বলেছেন এসব ডেলিভারির অ্যাডভান্সড স্টেজের লক্ষণ। প্রথম মা হওয়ার আনন্দ, অনুভূতিটাই একদম আলাদা। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই দুই থেকে তিন হচ্ছি আমরা। করোনার জন্য এদিন বাড়িতে আমরা কাউকেই নিমন্ত্রণ জানায়নি। একদম ছোট করেই নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছি।
Read More News
আমি মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসি। তাই মিষ্টির এই সব পদ (মালপোয়া, রসগোল্লা, সন্দেশ, পায়েস) সব নিজেরাই বানিয়েছি। আর শাশুড়িমাকে টুকটাক সাহায্য করেছি। আসলে এই সময়টায় একটু সাবধানে থাকতেই এখন আমাদের বাড়িতে কোনও সহায়ক নেই। সবটা আমরা নিজেরা ভাগাভাগি করেই করছি। আমার শ্বশুরবাড়িতে কিন্তু সাধের অনুষ্ঠান নেই। যেহেতু আমি বাঙালি আচার অনুষ্ঠান খুব ভালোবাসি তাই যাবতীয় কুসংস্কার দূরে সরিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন মা। আমায় সময়ে খেতে দেবেন বলে ভোর চারটে থেকে সেদিন রান্না শুরু করেছিলেন।

কয়েকদিনেই আগেই ফটোশ্যুট করলাম। নিজের স্টাইলিং, ড্রেস সব নিজেই ঠিক করেছি। অনলাইনেই শপিং করেছি। আসলে আমার আর সৌমিত্রর সব খুব সুন্দর করে পরিকল্পনা করা ছিল। আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে শ্বশুরবাড়ি গুয়াহাটিতে আসি। এক সপ্তাহ থাকব এরকম পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা আর লকডাউনে সব ভেস্তে গেল।
প্রথমে অনলাইনেই ডক্টরের পরামর্শ নিচ্ছিলাম। কিন্তু পরের দিকে যেভাবে করোনা বাড়তে শুরু করল তখন গুয়াহাটিতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার শ্বশুড়বাড়ির প্রত্যেকে আমায় খুব আদর, যত্ন করছেন কিন্তু তাও বেশিরভাগ সময় আমার মন খারাপ থাকত। নতুন একটা জীবন শুরু হতে চলেছে। এদিকে বাবা-মায়ের থেকে এত দূরে। ৬ মাস হয়ে গিয়েছে মা-বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি। ওঁরাও আসতে পারেননি। আসলে ভয় পাচ্ছেন, যদি কোনও ভাবে সংক্রমিত হয়ে যান তখন আমার আর আমার বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য সেটা খুব একটা ভালো হবে না। ফলে আমার এই স্পেশ্যাল জার্নিতে মা থাকতেই পারল না। যদিও সব সময় ফোন, ভিডিয়ো কলে কথা হচ্ছেই।

এই কয়েকদিন অনলাইনে শপিং শুরু করেছি। নিজের জন্যও কিনেছি। বেবির জন্যেও শপিং শুরু করে দিয়েছি গত মাস থেকে। আমি আর সৌমিত্র এত শপিং করেছি যে আমার শ্বশুরমশাই মজা করে বলেছেন স্কুল ব্যাগ আর ড্রেসটাই বা বাকি রাখলে কেন! তাতে মন খানিক ভালো হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বরের জন্য আমরা সবরকম ভাবে প্রস্তুত।
CoinWan Latest Banlga Newspaper