সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো চুক্তি বা জোট হয়নি, অনেকে কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির সঙ্গে হেফাজতের স্বীকৃতি বলে গুলিয়ে ফেলে। আমাদের স্বীকৃতি হচ্ছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল অবকাঠামোর মধ্যে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা। প্রায় ১৪ লাখ কওমি মাদ্রসার শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে থাকে। তাই আমরা কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছি।
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো আধুনিকায়ন ও নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা হবে বলে উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী।
কাদের বলেছেন, ইতিহাস বলে ধর্মব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বিশস্ত পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন খালেদা জিয়া ও বিএনপি। আজ রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রগতির যে পথ সেটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আর বাস্তবতাই হচ্ছে প্রগতি। বাস্তবতাকে বাদ দিয়ে কেউ প্রগতিশীল হতে পারে না। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির পরে আল্লামা শফি হুজুর গতকাল এক জনসভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
Read More News
ওবায়দুল কাদের বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায় ইস্টার সানডের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি করছেন। এ ছাড়া তারা মন্ত্রিসভায় তাদের অংশীদারত্ব, যোগত্য অনুযায়ী সরকারি চাকরির সুযোগ-সুবিধাসহ বেশ কিছু দাবি তুলেছেন। এগুলো নিয়ে আমি নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ- আলোচনা করব।