ইউরোপজুড়ে গাড়ি হামলার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে গাড়িই হয়ে উঠছে আতঙ্কের কারণ। সাম্প্রতিক সময়ে মূলত জনবহুল এলাকাতেই চালানো হয়েছে এসব হামলা।
ফ্রান্সের নিস, জার্মানির বার্লিন, যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টারের পর সর্বশেষ স্পেনের বার্সেলোনা সাক্ষী থাকলো একই ধরণের গাড়ি হামলার। এই প্রতিটা সন্ত্রাসী হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়নি কোনও বিস্ফোরক বা মারণাস্ত্র। বরং মানুষ হত্যার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় গাড়ি ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত চার বছরে ইউরোপ মুলুকের বিভিন্ন অঞ্চলে আটটি গাড়ি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় ১২৯ জন নিহত ও আহত হয়েছেন প্রায় ১২৭ জন। ইউরোপজুড়ে এই সন্ত্রাসী হামলাগুলোর বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
Read More News
সর্বশেষ স্পেনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে বার্সেলোনার লাস রামব্লাসে পথচারীদের ভিড়ে ভ্যান উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। এরপর স্থানীয় সময় মধ্যরাতের দিকে ক্যামব্রিলসের কাছে আরেকটি হামলার প্রচেষ্টা হলে পাঁচ সন্দেহভাজনকে হত্যার মধ্য দিয়ে তা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করে পুলিশ। ওই ঘটনায় সাতজন আহত হন। তাদের মধ্যে ছয়জন পথচারী ও একজন পুলিশ। এই দুই হামলার আগে বৃহস্পতিবার সকালে আলকানার এলাকার একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। এতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। এটিকে প্রথমে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হলেও এখন পুলিশ ধারণা করছে তিনটি ঘটনার সংযোগ রয়েছে।
আর এই ভয় ও আতঙ্ক সমাজ ও রাজনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। ইউরোপে সাম্প্রতিক সময়ের এই হামলাগুলো এমনই স্বাক্ষ্য দেয়। যার ফলে ইউরোপের বেশিরভাগ মানুষই মুসলিম প্রধান দেশগুলোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে।