তিন মাস আগেও বিশাল সাম্রাজ্যের অধিকারী ছিলেন গুরমিত রাম রহিম। অগণিত ভক্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন। কিন্তু গত ২৪ অগস্টের পর থেকে ডেরা সাচ্চা সৌদা-র প্রধান গুরমিত রাম রহিমের জীবনের নেই সেই বিলাসবহুল জীবনযাপন, সেই স্বাচ্ছন্দ্য।
আর পাঁচটা সাধারণ কয়েদিদের মতোই রাখা হয়েছে তাকে। খেতে হচ্ছে জেলের খাবার, পানিও। কাজ করতে হচ্ছে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে। জেলে যখন এসেছিল, রাম রহিমের ওজন ছিল ৯০ কেজি। ৪০ দিন হয়ে গেছে সে জেলে রয়েছে। এই ৪০ দিনেই ‘বাবা’র ওজন ঝরে গেছে ৬ কেজি।
Read More News
বাবা’র সমালোচকরা বলছেন, আরামের জীবন থেকে কয়েদির জীবনে এসে পড়েছে। তার প্রভাব তো পড়বেই! আবার কেউ কেউ কটাক্ষ করেও বলেছেন, পালিত কন্যা হানিপ্রীতকে চোখে হারাচ্ছে ‘বাবা’। আর সে কারণেই নাকি ওজন কমে গিয়েছে তার। বাবার ছায়াসঙ্গী ছিলেন হানিপ্রীত। সেই হানিপ্রীতও অবশ্য এখন জেলের ঘানি টানছেন।
দিনে চার ঘণ্টা জেল চত্বরের মাঠেই কাটায় ‘বাবা’। হাই ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিসের রোগী রাম রহিম। সে কারণেও তার ওজন কমতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে বাবা-র সমালোচকরা বলছেন, যে ব্যক্তি ঠান্ডা ঘরে বসে কোনও পরিশ্রম ছাড়াই দামি খাবার খেত, তাকে এখন ছোট্ট কুঠুরির মধ্যে বসে পরিশ্রম করে জেলের খাবার খেতে হচ্ছে। ফলে ওজন কমাটাই স্বাভাবিক।
CoinWan Latest Banlga Newspaper