আগামী ৭ মাসের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এসময় আদালত বলেছেন, ‘এটাই লাস্ট চান্স।’
১ বছর সময়ে চেয়ে বিজিএমইএ’র করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।
Read More News
আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত আগামী ৫ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করে দেন।
গত ১২ মার্চ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর ভবন ৬ মাসের মধ্যে ভাঙার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ানবাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজ’ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিনই প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন আদালতে উপস্থাপন করেন।
এর পরদিন বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙ্গার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। এরপর ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ’র ভবন ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন।
রায়ে বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ভাঙ্গতে বলা হয়। ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিলো সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।