মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদু-উল-ফিতর। তাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিপণী বিতানগুলোতে শোভা পাচ্ছে নানা রং ও ঢঙের কাপড়। ঈদে যা বেচাকেনা হচ্ছে তার মধ্যে প্রায় সবই ভারতীয় পণ্য। প্রায় সব শো রুম ভারতীয় পণ্যে ঠাসা। মানুষের মধ্যে দেশীয় পণ্যের চেয়ে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা বেশি। যে কারণে ব্যবসায়ীরা মেয়েদের জন্য ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা, গ্রাউন ও শাড়ি তুলেছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ হয় বাংলাদেশে মানুষ শপিং করে ভারতে। গতবারের মতো এবারও তারা অলস সময় পার করছেন। ভারতের অবাধ ভিসা দেয়ার কারণে শপিং সেন্টারগুলোতে ক্রেতা সমাগম কমে গেছে। তবুও তারা আগামী কয়েকদিন ক্রেতা পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বসুন্ধরা শপিং সেন্টারের ক্রেতার তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। বেশির ভাগ দোকানে এক-দুজন ক্রেতা। কোনোটি একদম খালি।
Read More News
বসুন্ধরা শপিং সেন্টারের বিক্রেতা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঈদের বাজারে ক্রেতাদের সমাগম অনেকটা কম। ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানান অফার দিয়ে ক্রেতা নিয়ে যাচ্ছে। দিনকে দিন লোক ভারতমুখী হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় এক লাখ মানুষ ভারতে রয়েছেন। পুরো ঈদ মৌসুমে প্রায় দুই লাখ মানুষ ভারতে শপিং করবে। যদি প্রতিজন গড়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার শপিং করে তাহলে দেশের একশ থেকে দুইশ কোটি টাকা ভারতে চলে যাবে।
ভারতীয় ভিসা ছাড়াও ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন মেলা হওয়াকে ক্রেতা না বাড়ার কারণ বলছেন অনেক দোকানি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারত থেকে কাপড় এনে অনলাইন বা বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসিয়ে ব্যবসা করছে। কোনো লাইসেন্স লাগছে না, সরকারকেও টাকা দিতে হয় না। কষ্ট করে মানুষ এখন না এসে ঘরে বসেই কেনাকাটা করছে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper