থাই গুহায় উদ্ধার অভিযানে কারা?

দীর্ঘ ১৮ দিন পর থাইল্যান্ডের গুহার ভেতর থেকে আটকা পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ডুবুরিরা। কোন গুহার ভেতরে উদ্ধার অভিযান চালানো কোন সহজ কাজ হয়। এটা একইসঙ্গে বিপদজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে ওই ডুবুরিদের এ ধরণের অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী থাকতে হয়।

থাইল্যান্ডের ওই গুহার উদ্ধার অভিযানে ৯০ জন ডুবুরির একটি দল কাজ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫০ জনই বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। তাদের কারও দেশ বেলজিয়াম, কারও ফিনল্যান্ড, কারাও ডেনমার্ক র্কিংবা কারও দেশ অস্ট্রেলিয়া। এর বাইরেও কয়েকটি দেশের ডুবুরিরা এই দুঃসাহসিক অভিযানে অংশ নেন।
Read More News

ওই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের এমন একজন সাহসী ডুবুরি বেন রেমেন্যান্ট, কিশোরদের বের করে আনতে নিজেদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। এই বেলজিয়ান নাগরিক মূলত ফুকেটে একটি ডুবুরির সরঞ্জামের দোকান পরিচালনা করেন। উদ্ধার অভিযানের প্রধান নারংসাক ওসোত্থানাকর্নের অধীনে তিনিও এই অভিযানে যোগ দিয়েছেন।

ডেনমার্কের নাগরিক ক্লস রাসমুসেন এমনই আরেকজন ডুবুরি। তিনি রেমেন্যান্টের সঙ্গে ফুকেটের ওই ডুবুরির স্কুলে কাজ করেন।

আরেকজন এসেছেন ফিনল্যান্ড থেকে। তার নাম মিকো পাসি। তিনি এই উদ্ধার অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক ডুবুরি হিসেবে কাজ করছেন। তার মতোই আরেক স্বেচ্ছাসেবক ডুবুরি ডেন ইভান কারাজিচ। তিনি ডেনমার্কের নাগরিক।

অস্ট্রেলিয়া থেকে আসার একজন ডুবুরির নাম রিচার্ড হ্যারিস। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। তবে ডুবুরি হিসেবেও বেশ পারদর্শী। তিনি ঝুঁকি নিয়ে ওই গুহার ভেতরে আটকে পড়াদের কাছে জরুরি চিকিৎসা দিতে যান। মূলত যে ব্রিটিশ ডুবুরি প্রথম ওই শিশুদের খোঁজ পান তার অনুরোধেই তিনি অভিযানে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *