বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আটকের পরে আজ বুধবার বেলা ৩টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে মিন্নির সম্পৃত্তা আছে দাবি করে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে বিচারক জানতে চান আসামির পক্ষে কোনও আইনজীবী আছেন কিনা? উপস্থিত আইনজীবীরা এসময় নীরব ছিলেন। পরে বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মিন্নিকে উদ্দেশ্য করে জানতে চান তার কোনো বক্তব্য আছে কিনা?
Read More News
তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে মিন্নি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, স্যার আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই, ঐ দিন যে এই ঘটনা ঘটবে তা আমি জানতাম না। বিভিন্ন সময় আসামিরা তাকে ফোনে বিরক্ত করতো ও ভয় ভীতি দেখাতো। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দিতো। তিনি আরও বলেন, আমি বা আমার পরিবার আসামিদের ভয়ে কোথাও মুখ খুলতে পারিনি। আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। মিন্নির বক্তব্যের একপর্যায়ে বিচারক কল লিস্টে তার নম্বর কিভাবে এলো জানতে চাইলে মিন্নি নিরব থাকেন।
এরপরে তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বুধবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে এনে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো ও আদালতে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মিন্নির পরিবার ।
মিন্নির পরিবারের দাবি মিন্নি প্রায় দুই মাস যাবত মানসিক চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানসিকভাবে অসুস্থ আমাদের মেয়েকে আসামি সনাক্ত করার নামে একটানা ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদে, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper