করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস – যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ – এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি। এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি হয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার মানুষের। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনটি, বা এরকম যে আরো কয়েকটি টিকা এখন গবেষণার পর্যায়ে আছে – তাতে আদৌ কোন কাজ হবে কিনা তা জানতে আরো অনেক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।
বিজ্ঞানীরা সারা পৃথিবীজুড়েই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন গবেষণার কাজ দ্রুততর করতে, এই রোগ থেকে এখন পর্যন্ত রক্ষার একমাত্র উপায় হলো অন্যদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে না দেয়া। প্রতিদিনই নিত্য নতুন উপায়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে যাতে করোনা সংক্রমণ কিছুটা হলেও রোধ করা যায়।
Read More News
ফক্স নিউজে প্রকাশিত সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী করোনাভাইরাস সংক্রমণ আটকানো যেতে পারে সাধারণ মাউথওয়াশের ব্যবহারে। Function জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, সংক্রমণের প্রথম স্টেজে কোভিড ১৯ গলা এবং স্যালাইভারি গ্ল্যান্ডে দ্রুত মাল্টিপ্লাই করে। একই সঙ্গে জানানো হয় SARS-CoV-2 ওনভল্পড ভাইরাস যার বাইরের অংশে লিপিড মেমব্রেন রয়েছে। যে কোষের এই ভাইরাস বাসা বাঁধে তার থেকেই তৈরি করে নেয় লিপিড মেমব্রেন।
সাধারণত মাউথওয়াশে পোভিডোন-আয়োডিন, ইথানল এবং সেটিলপাইরিডিনিয়াম থাকে। তবে বিজ্ঞানীরা এও বলেছেন, ঠিক কতক্ষণ পর্যন্ত মাউথওয়াশের এই সব উপকরণ মুখের ভিতরের বায়োমেমব্রেনের সঙ্গে লড়াই চালাতে পারবে তা আরও গবেষণার পরই নিশ্চিত করে বলা যাবে।
এই গবেষণার প্রধান এবং কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভ্যালেরি ও’ডোনেল জানিয়েছেন, কিছু মাউথওয়াশে যথেষ্ট পরিমাণে ভাইরুসিডাল উপকরণ থাকে যা সহজেই ওনভল্পড ভাইরাসের লিপিড নষ্ট করতে পারে। এমনটা প্রমাণিত হয়েছে টেস্ট টিউব গবেষণা এবং সীমিত ক্লিনিকাল সমীক্ষায়।
ফেব্রুয়ারি মাসে অবশ্য WHO-এর তরফে দাবি করা হয়েছিল, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যার থেকে দাবি করা যায় নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাউথওয়াশ কার্যকর হতে পারে। যদি কিছু কিছু মাউথওয়াশের ব্যবহারে মুখের লালায় মজুত মাইক্রোব অল্পক্ষণের জন্যে মেরে ফেলা যায়।