করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। তবে এই পরীক্ষা যেন ঘরে বসে শিক্ষার্থীরা দিতে পারে সেই চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে শিক্ষকরা এই ব্যবস্থা করবেন এবং উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন। মহামারীর এ সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত রাখতে এমন পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Read More News
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক শিক্ষাসূচি অনুযায়ী, এপ্রিলের মধ্যে প্রথম সাময়িক, আগস্টের মধ্যে দ্বিতীয় সাময়িক এবং ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আর নভেম্বরের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু করোনার মহামারী পরিস্থিতির কারণে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
মো. আকরাম-আল-হোসেন জানান, শিক্ষার্থীরা বাড়িতেই থাকবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক প্রশ্ন তৈরি করে শিক্ষার্থীদের মায়েদের কাছে পাঠাবেন। ঐ প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়ার পর তাদের মায়েরা উত্তরপত্র শিক্ষকের কাছে পাঠাবেন। যদি কেউ পাঠাতে না পারেন- তাহলে উত্তরপত্রগুলো শিক্ষকের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য কিছু স্বেচ্ছাসেবক রাখা হবে। তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি দেয়া হবে। যেসব জায়গায় এ পদ্ধতির বাস্তবায়ন করা সম্ভব, কেবল সেসব জায়গায়ই করা হবে। এটা বাধ্যতামূলক করা হবে না।’
CoinWan Latest Banlga Newspaper