করোনাভাইরাস চিকিৎসায় দেশের ১৭ হাসপাতালে ২৩৫টি আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে মোট আইসিইউর সংখ্যা ৭৩৩টি।
আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাখিল করা প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে আইসিইউ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যদি আইসিইউ সাপোর্ট যদি অপর্যাপ্ত হয় তাহলে তারা কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন। কন্ট্রোল রুম হতে কাছকাছি যে হাসপাতালে আইসিইউ সহজপ্রাপ্য রয়েছে সেখানে রোগীকে পাঠানোর জন্য পরামর্শ এবং একইসঙ্গে আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে পরামর্শ দেওয়া হয়। এভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক আইসিইউ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সম্পাদিত হচ্ছে।
আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিলের পর শুনানি হয়। শুনানিতে আদালত বলেন, যদি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হয় তাহলে মানুষ হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরছে কেন? এরপর আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান।
Read More News
এর আগে গত ৭ জুন সারা দেশে আইসিইউর কেন্দ্রীয় মনিটরিং আছে কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন আদালত। একইসঙ্গে করোনা চিকিৎসার জন্য কতগুলো আইসিইউ রয়েছে তা জানাতে বলেছিলেন।
গত ৬ জুন করোনাকালীন জন্য দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউসমূহকে সরকারকে অধিগ্রহণের নির্দেশনা দিতে রিট দায়ের করা হয়। রিটে করোনা মোকাবিলায় অনলাইনে সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো চালুরও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান এ রিট দায়ের করেন।
CoinWan Latest Banlga Newspaper