টানা ৩ দিন জেরার পর মঙ্গলবার মাদককাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) গ্রেফতার করে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের চর্চিত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। সেদিনই রিয়ার এক দফা জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসেই রাত কাটান রিয়া চক্রবর্তী। বুধবার সকালে অভিনেত্রীকে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। মাদককাণ্ডে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁকে।
বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে রিয়াকে ফের ‘নির্দোষ’ দাবি করে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। আবেদনে বলা হয়, রিয়া কোনও অপরাধ করেননি। তাঁকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর থেকে এনসিবি জোর করে বয়ান আদায় করেছে! রিয়ার পাশাপাশি জামিনের আবেদন করা হয় রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী সহ মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আরও ৫ জনের। কিন্তু জামিনের শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত।
Read More News
শুক্রবার ১১ সেপ্টেম্বর সকালে বিচারক জি বি গুরাও রিয়া এবং শৌভিক চক্রবর্তীর পাশাপাশি আরও ৪ অভিযুক্তর জামিন সংক্রান্ত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জানানো হয়, গ্রেফতার হওয়া ৬ জন, অর্থাৎ রিয়া, শৌভিক, দীপেশ সাওয়ান্ত, স্যামুয়েল মিরান্ডা, আবদেল বসিত পরিহার ও জায়েদ ভিলাত্রার জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। ফলে আগামি ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাইকুল্লা জেলেই কাটাতে হবে রিয়া চক্রবর্তীকে।
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে দাবি করা হয়, রিয়া চক্রবর্তী ‘ড্রাগ সিন্ডিকেট’-এর সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত, সক্রিয় সদস্য। সুশান্তের জন্য তিনিই মাদক আনাতেন, অন্যান্য নানা জায়গাতেও মাদক পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। NDPS আইন অনুসারে ২৭ এ, ২১, ২২, ২৮ ও ২৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের প্রাক্তন হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও অভিনেতার রাঁধুনী দীপেশের বিরুদ্ধে মাদক জোগাড় ও সুশান্তকে মাদক জোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে জাইদ ভিলাত্রা ও আবদেল বসিত পরিহার নামে ২ মাদক পাচারকারীকে। গ্রেফতার হওয়া মোট ৬ জনকেই ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।