কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের অস্ত্রধারি রোহিঙ্গাদের ভয়াল সংঘর্ষের ঘটনায় চার জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় এসব রোহিঙ্গা নিহতের প্রাথমিক খবর মিলেছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক বলে জানা গেছে। গোলাগুলিতে হতাহতের সংখ্যা আরো বেশী হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
Read More News
নিহতদের মধ্যে মুন্না বাহিনীর প্রধান রোহিঙ্গা মুন্নার দুই ভাই মোহাম্মদুল্লাহ এবং গিয়াসুদ্দিন রয়েছে বলে জানা গেছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে নতুন আসা রোহিঙ্গা এবং পুরানো রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। তাদের এক গ্রুপে মুন্না বাহিনী এবং অপর গ্রুপে আনাস বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সাধারণ রোহিঙ্গারা। দুই গ্রুপের মধ্যে গত ছয় দিনে এক নারীসহ আট জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
রাত সোয়া ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন পাঠানো পর্যন্তও কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকাসহ শিবিরের বিশাল পাহাড়ী এলাকা জুড়ে গোলাগুলি চলছে। সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের মুর্হুমুর্হু গোলাগুলির কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা পর্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে। গতকাল মাগরিবের নামাজের পর পরই কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়। এ ঘটনার পর পরই শিবিরের শত শত রোহিঙ্গা নিজেদের বস্তি ছেড়ে পালিয়ে যেত শুরু করেছে। শিবির ছেড়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় গ্রাম এলাকায়। গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন কুতুপালং ২ নম্বর শিবিরের দুই শতাধিক পরিবারের রোহিঙ্গাদের পার্শ্ববর্তী শিবিরে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের গলাকাটা ও অপর ৩ জন গুলিবিদ্ধ। এ ঘটনায় একজন আনসার সদস্য আহত রয়েছে। সংঘর্ষ এখনো চলমান রয়েছে।
CoinWan Latest Banlga Newspaper