মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করার পর দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। এক বছরের জন্য জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
সোমবার সেনাবহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের পর ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। নতুন সামরিক জান্তার বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং।
এর আগে গত বছরের নির্বচনের পর থেকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পর বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বৈঠকের সারাংশ তুলে ধরে জানানো হয়েছে, দেশটিতে সুষ্ঠু ও সত্যিকারের শৃঙ্খলাপূর্ণ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অনুশীলনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
Read More News
অং সান সুচির দল এনএলডি ফেসবুকে তাদের একটি পাতায় এক বিবৃতিতে সামরিক অভ্যুত্থান প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ করার ডাক দিয়েছে।
সেনাবাহিনীর হাতে তাদের বন্দী নেত্রীর পক্ষে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলে রয়টর্স বার্তা সংস্থা জানিয়েছে। নভেম্বরের নির্বাচনের আগে প্রচারণার জন্য ফেসবুকে যে অ্যাকাউন্ট এনএলডি ব্যবহার করতো, সেই পাতাতেই এই বিবৃতি পোস্ট করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সেনাবাহিনীর এই ভূমিকা দেশকে একনায়কতন্ত্রে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। জনগণকে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যেন এটা মেনে না নেয়। তারা যেন সেনাবাহিনীর এই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।“ বিবৃতির নীচে মিস সুচির নাম থাকলেও তার কোনো সই নেই।
তবে বিবৃতির নীচে এনএলডির চেয়ারম্যান উইন টিনের হাতে লেখা একটি নোট রয়েছে যেখানে তিনি বলেছেন, “এই বিবৃতি সুচির ইচ্ছার প্রতিফলন এবং এ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।“ তিনি লেখেন, “আমি কসম করে বলছি অং সান সুচি নিজে জনগণের প্রতি এই আহ্বান জানাচেছন।“
CoinWan Latest Banlga Newspaper