ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে লালমাটিয়ার মিনার মসজিদে তার জানাজা হয়। জানাজায় তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন এবং স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ নেন। পরে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুশতাক আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে র্যাব গ্রেফতার করে।
Read More News
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এ সময় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাব। সেই মামলায় দুজন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়।
মুশতাক আহমেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। লালমাটিয়ায় স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা–বাবার সঙ্গে থাকতেন। তিনি মা–বাবার একমাত্র পুত্রসন্তান। তিনি দেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষের উদ্যোক্তা। মুশতাকের স্ত্রী লিপা আক্তার সম্প্রতি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে পরিবারের একজন সদস্য জানিয়েছেন।
মুশতাক আহমেদ বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ছিল। ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় কারাগারের ভিতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মুশতাক আহমেদ। এ সময় তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মুশতাক আহমেদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
CoinWan Latest Banlga Newspaper