মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে নতুন এক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপিয়ান কমিশন।
শরণার্থীদের ঠেকাতে নয়টি দেশকে বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেয়ার কথা জানিয়েছে ইসি।
যেসব দেশ থেকে শরণার্থীরা ইউরোপে আসছেন অথবা যেসব দেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্দেশ্য সেখানেই স্রোত ঠেকিয়ে দেয়া।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জর্ডান, লিবিয়া, ইথিওপিয়া ও নাইজেরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার নয়টি দেশের সাথে আরো ব্যাপক অংশীদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় কমিশন।
নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৭০ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করা হবে। যা মূলত উৎস ও রুট হিসেবে ব্যবহৃত দেশগুলোর সীমান্ত সুরক্ষা ও পাচারকারীদের প্রতিহত করতে ব্যবহার করা হবে।
সিরিয়া, আফগানিস্তান, লিবিয়া ও ইরাকের মতন যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলো থেকে দশ লাখেরও বেশি শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গত বছর ইউরোপে এসেছে।
ঝুঁকিপূর্ণভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকোডুবিতে মারা গেছে হাজার হাজার মানুষ।
এই অবস্থায় ইউরোপমুখী মানুষের স্রোত বন্ধ করতে নতুন এই পরিকল্পনা। বিশেষ সুবিধার মধ্যে বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধাও থাকবে। সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর সহায়তাও থাকতে পারে।
তুরস্কের সাথে গত মার্চে চুক্তি করার পর থেকে গ্রিসে পালিয়ে আসা অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
এই চুক্তির আওতায় যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো কারণে তুরস্ক হয়ে ইউরোপ যাওয়া অভিবাসীদের তুরস্কে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এসব অভিবাসীদের গ্রহণের বিনিময়ে ইউরোপ থেকে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা এবং ইউরোপে ভিসা মুক্ত যাতায়াত সুবিধা পাবে তুরস্ক।
CoinWan Latest Banlga Newspaper