টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ১০ হাজার থ্রিজি বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস) স্থাপনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সারাদেশের ১০ হাজারটি এলাকায় অবস্থিত এ বিটিএসগুলো দেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীকে থ্রিজির আওতায় নিয়ে এসেছে।
রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১০ হাজারতম বিটিএসটি চালু করেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ। এ সময় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) রাজীব শেঠি উপস্থিত ছিলেন।
এ বছরের জানুয়ারী মাসে গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি, টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিগভে ব্রেক্কের উপস্থিতিতে জুনের মধ্যে ১০ হাজার থ্রিজি বিটিএস স্থাপনের ঘোষণা দেন।
Read More News
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এই সাফল্যের জন্য গ্রামীণফোনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এর ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন আরো একধাপ এগিয়ে গেল।’
গ্রামীণফোন সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে আমরা অতি দ্রুতগতিতে থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তারের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। আমাদের বিনিয়োগ আর আমাদের সাফল্য আজ শুধু গ্রামীণফোনের নয়। এই ১০ হাজার বিটিএস এখন একটি জাতীয় সাফল্য এবং আমরা বাংলাদেশের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।’
গ্রামীণফোনের প্রধান কারিগরী কর্মকর্তা (সিটিও) মেদহাত এলহোসাইনী ১০ হাজার বিটিএসকে থ্রিজিতে রূপান্তরিত করার অভিযাত্রা একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। এই বিশাল কাজটি সম্পন্ন করতে ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৭৭ ঘণ্টা শ্রম দিতে হয়েছে। তাঁরা ভ্রমণ করেছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪০ কিলোমিটার এবং তাঁদের চড়তে হয়েছে ছয় লাখ ৮০ হাজার মিটার যা ৮০টি এভারেস্ট শৃঙ্গের সমান।
উদ্বোধনের পর ১০ হাজারতম বিটিএসে কর্মরত গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেন গ্রামীণফোনের সিইও।
CoinWan Latest Banlga Newspaper