ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ আসছে

ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি আরো সামান্য পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। একই সঙ্গে আরো ঘনীভূত হয়ে সেটি ওই এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘কায়ান্ট’ রেখেছে মিয়ানমার। দেশটির আদিবাসী মন সম্প্রদায়ের ভাষায় ‘কায়ান্ট’ শব্দটির অর্থ কুমির।
Read More News

এর আগে গতকাল সোমবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এক পূর্বাভাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চলে একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছিল। এই ঝড়ের প্রভাবে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিল তারা।

আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কায়ান্টের আশপাশের এলাকায় সমুদ্র খুবই উত্তাল অবস্থায় রয়েছে।

এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সূত্র: এনটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *