প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করেছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দু‘টি উদ্বোধন করেন।
Read More News
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেন।
এদিকে আসন্ন ঈদ-উল ফিতরে মহাসড়কে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন চলাচল করতে পারবে এমন আশায় এ রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালক, যাত্রী ও নানা শ্রেণিপেশার লোকজন বেশ খুশি, তাদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
প্রথমবারের মতো দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতি ও মেঘনা সেতুতে যানবাহনের টোল আদায়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এতে টোল দিতে এখন আর যানবাহনগুলোকে টোল প্লাজায় থামতে হচ্ছে না এবং নগদ অর্থ দেওয়ারও প্রয়োজন হচ্ছে না।
সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা, গাড়ির চালক ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ফোরলেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে দৈনিক অন্তত ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহন এসে আগে একলেনে পুরনো মেঘনা-গোমতী, মেঘনা ও কাঁচপুর সেতুতে উঠতো। এতে যানবাহনের চাপ বেড়ে গিয়ে ধীরগতির কারণে প্রতিটি ধর্মীয়সহ নানা উৎসবে ও সরকারি ছুটির দিনে যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রী ও চালকদের। কিন্তু এবার ঈদের আগে সেতুগুলো খুলে দেওয়ার পর আর কোনো যানজট থাকবে না। এতে মানুষের সময়, খরচ ও ভোগান্তি কমবে এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। যানজটের কারণে এতোদিন যে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হতো তা আর হবে না এবং এতে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।